রানী ইন্দিরা দেবী গভর্নমেন্ট গার্লস্ কলেজ

স্থাপিত: ২০১৪
[ পূর্বতন: ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ ( গার্লস্ উইং ) ]
পশ্চিমবঙ্গ সরকার | বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত
ডাকঘর + থানাঃ ঝাড়গ্রাম, জেলা: ঝাড়গ্রাম, পিন: ৭২১৫০৭

Rani Indira Debi Government Girls’ College

ESTD: 2014
[ Erstwhile Jhargram Raj College (Girls’ Wing) ]
Government of West Bengal | Affiliated to Vidyasagar University
P.O. + P.S.: Jhargram, District: Jhargram, PIN: 721507.

DEPARTMENT OF PHILOSOPHY

The Department of Philosophy was established in August 2014. It offers a B.A degree in Philosophy (Honours and General). Though Philosophy was once treated as “mother of all disciplines”, now it has no such place in today's academic structure. With an eye to regain its lost place, the curriculum of this subject under Vidyasagar University has included certain topics that make the subject acceptable to the students and help them relate to their day to day activity. The study of philosophy opens up the power of analysis and justification of thoughts. This in turn helps the students to have a better grasp on their life and living. This department has two (3) sanctioned posts. At present there are two (2) full-time professors who are taking care of this department.

The first Honours batch of this department passed out in 2018. Many students are successfully pursuing M.A in Philosophy from prominent universities in and around West Bengal. Though academics is the core part, students of this department also engage in a range of extra-curricular activities including dance, sports, recitation, drawing, NSS to name a few.

Philosophy is not a mere discipline. It is “the art and law of life” and quite rightly this subject helps to prepare the students in their future endeavors. The ambiance of the college and department to be specific is such that it nurtures the students in such a way, that they can establish themselves in every walk of their lives. As career options they can choose academic and research institutes, social works, Journalism , Counselling, Human Resource Specialist, among other jobs.

Faculty Member Speaks:

রানী ইন্দিরা দেবী গভর্নমেন্ট গার্লস' কলেজ-এর দর্শন বিভাগের জন্ম লগ্ন থেকেই এর সাথে আমি যুক্ত। 2014 সালে মাত্র 4 জন ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু, এখন সেখানে Hons, DSC, GE মিলিয়ে 300 বেশি ছাত্রী দর্শন বিভাগের সাথে যুক্ত। এই সাত বছরে একটু একটু করে আমাদের বিভাগ যেমন বেড়ে উঠেছে তেমনি প্রতিটি দিনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আমাকেও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। অনেক ভালোলাগা, খারাপলাগা, ভালোবাসা, দুঃখ সবই জড়িয়ে আছে এর সাথে। এক আলাদা অনুভূতি, আলাদা উপলব্ধি এনে দেয় এই ঝাড়গ্রাম শহর, এই কলেজ, এই বিভাগ। দর্শন বিষয়টিও আসলে এরকমই। আক্ষরিকভাবে ‘দেখা’ বোঝালেও তার প্রকৃত অর্থ ‘উপলব্ধি’, ‘সত্যের উপলব্ধি' । আমাদের আশেপাশের এত বৈচিত্র্য এত বিভিন্ন তার মধ্যে প্রকৃত সত্যের অনুসন্ধানই দর্শনের প্রকৃত লক্ষ্য। ঈশ্বর থেকে জরবাদ, ব্রহ্মতত্ত্ব থেকে পরিবেশ বিদ্যা, নীতিবিদ্যা, সমাজ দর্শন রাষ্ট্রদর্শন, যুক্তিবিদ্যা, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ সবই দর্শনের আলোচ্য বিষয়। এককথায় আমাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয় দর্শনে আলোচিত হয়। অনেকেই প্রকৃত সত্য না জেনে এই বিষয়ের অবমাননার জন্য অনেক কিছু বলে থাকে, হেয় করে কিন্তু দর্শন আমাদের সাহায্য করে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হতে, জগৎ- জীবনের প্রতিটি ঘটনা যুক্তির সাহায্যে বিচার করতে, অন্ধ আনুগত্য না দেখিয়ে বিচার বিশ্লেষণের সাহায্যে সমস্ত ঘটনা গ্রহণ বা বর্জন করতে। কাজেই দর্শন আমাদের সাহায্য করে উন্নত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে। ব্যবহারিক দিকেও এর অবদান কম নয়। এই বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকে। আমি আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করব এক উন্নত প্রজন্ম গড়ে তোলার।

From The Students:

“রানী ইন্দিরা দেবী গভর্নমেন্ট গার্লস' কলেজ “ এই কলেজটি নির্মাণের ফলে ছাত্রীরা অনেক উপকৃত হয়েছে এবং নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা রাখছে। আমাদের এই কলেজটি খুবই সুন্দর। আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ মহাশয় খুবই দায়িত্বশীল, নিষ্ঠাবান এবং সৎ একজন মানুষ। তিনি আমাদের অনেক স্নেহ, ভালোবাসা দিয়েছেন এবং নানা কাজে সাহায্য করেছেন। আমাদের দর্শন বিভাগের দুজন শিক্ষিকা মহাশয়া নিবেদিতা দেবনাথ এবং সৌমিতা চৌধুরী -এনারা আমাদের খুব সুন্দর ভাবে শিক্ষা দান করেছেন। এর পাশাপাশি সমাজে চলার পথে এবং নিজের যোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। আমাদের এই কলেজে ছাত্রীদের জন্য একটি গার্লস হোস্টেলের খুবই প্রয়োজন, যাতে দূরবর্তী স্থানের মেয়েরাও রেগুলার ক্লাস করতে পারে। আমাদের এই কলেজে পড়াশোনা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে আমরা উপকৃত হই।

রানী ইন্দিরা দেবী গভর্নমেন্ট গার্লস' কলেজ আমাদের এই কলেজটি সর্ম্পকে যাই বলি না কেন তা সবই তুচ্ছ। একজন মা যেমন সন্তানকে ভালোবাসা দিয়ে একটু একটু করে বড় করে তোলে, ঠিক সেইভাবেই N.D. ma’am এবং S.C . Ma’am ভালোবাসা দিয়ে আমাদের সব রকম সমস্যার সমাধান করে আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। ওনারা যেভাবে আমাদের বুকে জড়িয়ে রেখেছেন তা কোন অংশে মায়ের তুলনায় কম নয়। ওনারা সবসময় সব রকম ভাবে চেষ্টা করে চলেছেন আমরা যাতে সমস্ত বাধা পেরিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। একদিন কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে, জানিনা কিভাবে উনাদের ছেড়ে যাব ওনারা আমাদের কাছে শুধু ম্যাম নয়, ওনারা আমাদের “মা”।

আমি রানী ইন্দিরা দেবী গভর্নমেন্ট গার্লস' কলেজ এর একজন প্রাক্তনী। আমি 2021 শিক্ষাবর্ষে কলেজ পাশ করেছি। আমার পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমি কলেজের দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষ থেকে কর্মরত ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শিক্ষিকার কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়ে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। ওনারা প্রতিক্ষেত্রে প্রতি পদক্ষেপে আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং আমার পড়াশোনা সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করেছেন। আমি আমাদের কলেজের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা এবং প্রণাম জানাই।

(SAG-KP Convergence Programme)
আমি আমাদের এই কলেজ সম্বন্ধে বেশি কিছু জানিনা কারণ পরিস্থিতির চাপে আমি বা আমরা কোনদিনই কলেজে গিয়ে ক্লাস করতে পারিনি। তবে আমাদের যারা ক্লাস করান তারা খুবই ভালো, যত্ন সহকারে পড়া বুঝিয়ে দেন, কোন সমস্যা হলে আমাদের সাহায্য করেন। আমি আমাদের এই ডিপার্টমেন্ট এবং কলেজ কে খুবই ভালোবাসি। এই কলেজের ছাত্রী হতে পেরে আমি গর্বিত।

স্কুল জীবন শেষ করে, মার হাত ধরে কলেজে পা রাখার প্রথম আমার কাছে খুবই স্মরণীয়। ফিলোজফি অনার্সের ক্লাস রুমে প্রবেশ করে বহু অচেনা মেয়ের সাথে যেমন বন্ধুত্ব হল তেমনি পরিচয় হলো আমাদের নিবেদিতা ম্যামের সাথে। তিনি আমাদের এতো ভালো করে পড়া বোঝাতেন যে বাড়ি গিয়ে একবার পড়লেই হয়ে যেত। তবে তখন কলেজে লাইব্রেরী ছিল না। ম্যাম নিজেই বই দিতেন পড়ার জন্য। বহুবার ম্যামের কাছ থেকে বহু বই নিয়েছি। এছাড়া ও সবাই মিলে একসাথে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, নৃত্য পরিবেশন করা, নবীনবরণ বা শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া এসবই আমার মনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেঁথে রয়েছে। এখন আমি M.A. পাশ করে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সঙ্গে নাচও শেখাচ্ছি।

Distinguished Faculty Of The Department